অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সুদানের যুদ্ধরত পক্ষগুলো নয় থেকে ৬০ বছর বয়সী নারী ও মেয়েদের উপর ব্যাপক যৌন হয়রানি করেছে এবং রাজধানীতে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সেবা পেতে বাধা দিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সোমবার এই কথা বলেছে।
‘খার্তুম মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়’ শিরোনামের একটি নতুন প্রতিবেদনে অধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি ৪২ জন স্বাস্থ ্যসেবা কর্মী, ও প্রথম যৌন হয়রানির শিকারদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া, জোরপূর্বক এবং বাল্যবিবাহ সম্পর্কে সাক্ষ্য রেকর্ড করেছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ ফোর্সের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। .
এপ্রিল থেকে ফেব্রুয়ারী ২০২৪ এর মধ্যে ১৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী বৃহত্তর খার্তুমে যৌন নির্যাতনের শিকার ২৬২জন মহিলা ও শিশুদের চিকিৎসা দিয়েছেন।
এইচআরডব্লিউ-এর আফ্রিকা বিষয়ক ডেপুটি ডিরেক্টর ল্যাটিটিয়া বাডার বলেন, আরএসএফ ‘সুদানের রাজধানীতে আবাসিক এলাকায় অগণিত নারী ও মেয়েকে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, এবং বাল্য বিয়েতে বাধ্য করেছে।’
‘সশস্ত্র গোষ্ঠীটি নারী ও মেয়েদেরকে সন্ত্রাসী করেছে এবং উভয় যুদ্ধরত পক্ষই তাদের সাহায্য ও সহায়তা পরিষেবা পেতে বাধা দিয়েছে। তারা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং তারা মনে করে যে কোথাও নিরাপদ নয়।’
৮৮-পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ‘যৌন দাসত্বের পরিমাণ হতে পারে এমন অবস্থার’ বিস্তরিত বিবরণও রয়েছে।
যদিও যৌন হয়রানি প্রাথমিকভাবে ‘আরএসএফ’ দ্বারা সংঘটিত হয়েছে তবে সেনাবাহিনীর হাতেও যৌন নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে।
এইচআরডব্লিউ বলছে, ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে সেনাবাহিনী ওমদুরমানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে রিপোর্টে ‘মামলার সংখ্যা বেড়েছে।’
Leave a Reply